কয়েক শতাব্দী ধরে বাঙালিরা নানা প্রভুর অধীনে গোলামি করে এসেছে—কখনো ব্রিটিশদের, কখনো পাশের রাষ্ট্র ভারতের। তবে কিছুদিন আগেই, ২৪-এর অভ্যুত্থানে বাঙালিরা আবারও রক্ত দিয়েছে স্বাধীন সার্বভৌমত্বের দাবিতে, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার আশায়।
মাত্র দুই মাস আগে শপথ নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন ক্ষমতায় রয়েছে। তারা শপথ নিয়েছিল বাঙালিকে গোলামির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে সত্যিকারের স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে; কিছু উপদেষ্টা নিজেদের দায়িত্ব ভুলে নতুন প্রভুর খোঁজে আমেরিকার দিকে ঝুঁকছে। তারা ঢাকায় আমেরিকার মানবাধিকার অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা শুধু মানবাধিকার নয়—প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, এমনকি ক্ষমতার ভার নিয়ন্ত্রণে আমেরিকার সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ এনে দেবে।
এটি ২৪-এর অভ্যুত্থানের চেতনার পুরোপুরি বিপরীত এবং শহীদদের রক্তের সঙ্গে এক বিরাট বিশ্বাসঘাতকতা। বারবার রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আবারও বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
এখন সময় এসেছে—সকল বাঙালিকে সজাগ হতে হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বাংলাদেশে কোনো বিদেশি সংগঠনের ঘাঁটি স্থাপন করতে দেওয়া যাবে না।