তাগুতের আনুগত্যকারীরা খিলাফাহ বিলোপ করেই থেমে থাকেনি; বরং ভবিষ্যতে এটি যেন কোনোভাবে পুনরায় তাদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য তারা সম্মিলিতভাবে পাঁচটি বিষয়ে সমঝোতা করে। যথা-
১. যে-ই ইসলামী শাসনব্যবস্থার দিকে সমাজকে আহ্বান জানাবে, তাকে মূল থেকে নির্মূল করতে হবে।
২. দুনিয়ার যে কোনো অঞ্চলে যে কোনো ধরণের ইসলামী জাগরণ প্রকাশ পেলে তা রোধ করতে হবে।
৩. জিহাদ নামক বিধান ও এর পরিভাষাসমূহকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিতে হবে। একে “সন্ত্রাসবাদ, হিংস্রতা ও পুরনো ধ্যানধারণা” আখ্যা দিয়ে সর্বোচ্চ উপায়ে আক্রমণ চালাতে হবে। জনগণের মাঝে প্রচার করতে হবে যে, এটি মানবকল্যাণের উপযোগী নয়; বরং বর্বর ও অসভ্য জাতির জন্য মানানসই।
৪. নতুন প্রজন্মকে নষ্ট ও পঙ্কিলতায় ডুবিয়ে রাখতে হবে, যেন তারা একসময় কামপিপাসু ও নির্লজ্জ প্রাণীতে পরিণত হয়। শেষাবধি তাদের মাঝে শুধু খেয়াল-খুশি ও কামনা-বাসনা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট না থাকে।
৫. সব প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, উপকরণ ও সম্পদকে মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ থেকে ছিনিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা, গণমাধ্যম, কূটনৈতিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। এতে এসব ক্ষেত্রে অমুসলিমদের পূর্ণ প্রভাব বিস্তার করবে, মুসলমানদের সামান্যতম কর্তৃত্বও থাকবে না।
এভাবেই মুসলিম ভূমিগুলোতে ইসলামী জাগরণ দমন ও নির্যাতনের রহস্য উন্মোচিত হয়। অসংখ্য গোপন পরিকল্পনার মাধ্যমে কুফফাররা প্রতিটি মুজাহিদ অথবা যারা জিহাদ নিয়ে চিন্তা করে তাদের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থা ও গণমাধ্যম ব্যবহার করে তারা তাদের এসব চক্রান্ত বাস্তবায়ন করে থাকে।
আল্লাহর দীনকে উৎখাত করে তার স্থলে মনগড়া আইন প্রতিষ্ঠা করা এক ভয়াবহ ও ঘৃণ্য পদক্ষেপ। পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমের প্রতিটি মুসলিমের জন্য এটি এক মারাত্মক আঘাত। মানবজাতি ইতিহাসে এরূপ বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সম্মুখীন আর কখনো হয়নি।
হে আল্লাহ! উম্মাহকে জাগ্রত কর, আমাদেরকে ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা কর। আমীন
মুহা, ইমদাদুল্লাহ ফরিদপুরী
উচ্চতর ফিক্বাহ ও ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ, জামিয়া ইসলামিয়া ওবায়দিয়া, নানুপুর, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম বাংলাদেশ।
