পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তায় এগোতে থাকি, তখন চারপাশ যেন একেবারে নতুন এক জগত খুলে দেয়।
ডানদিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড় – শ্যাওলা ও সবুজ গাছপালায় ঢাকা, মাঝে মাঝে ধূসর পাথর উঁকি দিয়ে জানিয়ে দেয় পাহাড়ের দৃঢ়তা। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে ছোট ছোট ঝরনা, যেগুলোর টুপটাপ শব্দ মিশে যায় বাতাসের স্রোতে।
অন্যদিকে চোখ মেলে তাকালে দেখা যায় সরু নদী, আঁকাবাঁকা হয়ে ছুটে চলেছে। কখনো নদীর জল স্বচ্ছ কাচের মতো ঝলমল করছে সূর্যের আলোয়, আবার কখনো মৃদু ঢেউয়ে হালকা কলকল শব্দ তুলছে। নদীর তীরে ছোট ছোট গাছপালা—কেউ ঝুঁকে নদীর জলে ছায়া ফেলছে, কেউ আবার দাঁড়িয়ে আছে সতর্ক প্রহরীর মতো।
রাস্তার পাশ দিয়ে হাওয়া বয়ে আসছে শীতল স্পর্শ নিয়ে। মাঝে মাঝে পাখির ডাক শোনা যায়, সেই সুরে পুরো পথ যেন কবিতার মতো সাজিয়ে তোলে। রাস্তাটা বেঁকেবেঁকে সামনে এগিয়ে চলে—কখনো ঢালু, কখনো উঁচু। গাড়ি কিংবা পায়ে হাঁটার প্রতিটি মুহূর্তে মনে হয়, এ পথ শুধু গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে না, বরং প্রতিটি বাঁকে নতুন এক সৌন্দর্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
আবু রায়হান অনুভব করে—এই আঁকাবাঁকা রাস্তা কেবল চলার পথ নয়, বরং প্রকৃতির গোপন শিল্পকর্ম, যেখানে পাহাড়, নদী আর গাছপালা একসাথে মিলেমিশে দিচ্ছে প্রশান্তির দাওয়াত
