রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। আল্লাহ তাঁকে এমন মহান চরিত্র দান করেছিলেন, যার সমকক্ষ আর কেউ ছিল না। কুরআনেই আল্লাহ তাঁকে “মহান চরিত্রের অধিকারী” বলে ঘোষণা করেছেন।
শারীরিকভাবে তিনি ছিলেন না খুব লম্বা, না খাটো; গায়ের রং ছিল উজ্জ্বল ফর্সা, সামান্য লাল আভাযুক্ত। তাঁর চুল ছিল না একেবারে সোজা, না একেবারে কোঁকড়া। মুখমণ্ডল ছিল চাঁদের মতো উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়। তিনি সর্বদা পরিচ্ছন্ন, সুগন্ধময় ও সুন্দরভাবে সাজানো-গোছানো থাকতেন।
চরিত্রে তিনি ছিলেন সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত—এ কারণেই মক্কার মানুষ তাঁকে আস-সাদিক (সত্যবাদী) ও আল-আমিন (বিশ্বস্ত) নামে ডাকত। তিনি ছিলেন বিনয়ী, নম্র, দয়ালু, ধৈর্যশীল ও ক্ষমাশীল। যারা তাঁকে কষ্ট দিত, তাদেরকেও তিনি ক্ষমা করে দিতেন। নিজের জন্য কখনো প্রতিশোধ নিতেন না, কেবল আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্যই প্রতিশোধ নিতেন।
ব্যবহার-আচরণে তিনি ছিলেন সবার কাছে প্রিয়। তিনি সর্বদা হাসিমুখে কথা বলতেন, শিশুদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত স্নেহশীল, প্রতিবেশীদের প্রতি যত্নবান এবং দরিদ্র-অসহায়দের পাশে দাঁড়াতেন। তিনি নিজের হাতে কাজ করতেন, পরিবারের সেবা করতেন এবং সকলের সাথে সমানভাবে আচরণ করতেন।
ইবাদতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত অগ্রগামী। রাত জেগে দীর্ঘ নামাজ আদায় করতেন, আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতেন এবং সর্বদা তাঁর রবের আনুগত্যে জীবন কাটাতেন।
তিনি ছিলেন একই সাথে একজন ধর্মীয় নেতা, ন্যায়পরায়ণ শাসক, সুবিচারক বিচারক, দায়িত্বশীল পিতা, দয়ালু স্বামী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু।
রাসূলুল্লাহ ছিলেন মানবতার জন্য পূর্ণাঙ্গ আদর্শ, যাঁর জীবন থেকে মানুষ প্রত্যেক ক্ষেত্রে শিক্ষা নিতে পারে।
